logo
logo

ফজরের নামাজের গুরুত্ব

Blog single photo

ভোরের নিস্তব্ধ সময়ে, যখন দুনিয়া ঘুমে আচ্ছন্ন, তখন মহান আল্লাহর সামনে দাঁড়ানোর প্রশান্তি অতুলনীয়। ফজর শুধু শৃঙ্খলার পাঠ নয়; বরং মহান আল্লাহর নিয়ামতের একটি বিশেষ অংশ। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যারা অন্ধকারে মসজিদে যায়, তাদের কিয়ামতের দিন পূর্ণ আলো দেওয়া হবে।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৬৫৭)

দুনিয়ায় অন্ধকারে টর্চলাইট খুঁজি, আর আখিরাতে পূর্ণ আলোর প্রতিশ্রুতি! এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি কী হতে পারে? ফজর শুধু দিনকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করে না, আখিরাতকে আলোয় ভরিয়ে দেয়। ফজর কাজা হলে আমরা একটি নামাজ নয়, একটি বিশাল নিয়ামত হারাই।

ফজরের নামাজ কাজা না করতে আমাদের আধুনিক কৌশল, যেমন ফাইভ সেকেন্ডস রুল, সুন্নাহ অনুযায়ী সময়মতো ঘুম, পরিবারের সহযোগিতা ও আন্তরিক নিয়ত গ্রহণ করতে হবে। নিয়মিত ফজর আমাদের জীবনকে শৃঙ্খলাপূর্ণ, আত্মাকে প্রশান্ত ও আখিরাতে মহান আল্লাহর নুরের প্রতিশ্রুতি বয়ে আনবে। মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে সময়মতো ফজর আদায়ের তাওফিক দান করুন। আমিন।

 

ফজরের নামাজের ফজিলত অপরিসীম। কুরআনে আল্লাহ বলেছেন, ‘নামাজ কায়েম করো সূর্যাস্ত থেকে রাতের অন্ধকার পর্যন্ত এবং ফজরের কুরআন পাঠের সময়, কেননা ফজরের কুরআন পাঠ সাক্ষী-প্রাপ্ত।’ (সুরা বনি ইসরাইল, আয়াত: ৭৮)

হাদিসে নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাতে পড়ে, সে আল্লাহর জিম্মায় থাকে।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৬৫৭)

আরেকটি হাদিসে আছে, ‘যে ফজর ও ইশার নামাজ পড়ে, সে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫৬৫)

আপনার মতামত লিখুন

logo
Top