logo
logo

যে দিনগুলোতে রোজা রাখা নিষিদ্ধ

Blog single photo

রোজা রাখা সওয়াবের কাজ হলেও বেশ কয়েকটি দিন এমন আছে, যখন রোজা রাখাটা পুণ্যের নয় বরং পাপের কাজ। কারণ এই দিনগুলো আনন্দ উদ্‌যাপনের জন্য। এমন দিন মোট ৫টি।

রোজা রাখা নিষিদ্ধ ৫দিন

১. ঈদুল ফিতরের দিন, ২. ঈদুল আজহার দিন (জিলহজ মাসের দশ তারিখ), ৩. জিলহজ মাসের এগারো তারিখ, ৪. জিলহজ মাসের বারো তারিখ, ৫। জিলহজ মাসের তেরো তারিখ। শেষের ৩টি দিনকে বলা হয়, তাশরিকের দিন বা আইয়ামে তাশরিক।

কেন নিষিদ্ধ

দুই ঈদের দিন রোজা রাখা নিষিদ্ধ। কারণ ঈদের দিন হলো আনন্দের দিন। এ-ব্যাপারে সকল আলেম ঐকমত্য প্রকাশ করেছেন। আবু সাইদ খুদরি (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) ঈদুল ফিতর ও ইদুল আযহার দিন রোজা রাখতে বারণ করেছেন। (বুখারি, হাদিস: ১,৯৯২; মুসলিম, হাদিস: ৮২৭)

তাশরিকের দিনগুলোতে রোজা রাখাও নিষিদ্ধ। অর্থাৎ, ঈদুল আজহার পরের তিনদিন (১১, ১২ ও ১৩ জিলহজ্জ)। রাসুল (সা.) বলেছেন, তাশরিকের দিনগুলো পানাহার ও আল্লাহ্কে স্মরণ করার দিন। (মুসলিম, হাদিস: ১১৪১)

অন্য হাদিসে আছে, এ-দিনগুলোতে রাসুল (সা.) আমাদের রোজা না-রাখার নির্দেশ দিতেন এবং রোজা রাখতে নিষেধ করতেন। ইমাম মালেক (রহ.) বলেন, সেই দিনগুলো হলো তাশরিকের দিন। (আবু দাউদ, হাদিস: ২৪১৮)

কার জন্য ব্যতিক্রম

যে হাজি কোরবানির পশু সংগ্রহ করতে পারেন নি তার জন্যে এ-সময়ে রোজা রাখা বৈধ। আয়েশা (রা.) ও ইবনে ওমর (রা.) উভয়ে বলেন, যে ব্যক্তি হজে গিয়ে কুরবানির পশু সংগ্রহ করতে পারেনি সে ব্যক্তি ছাড়া তাশরিকের দিনগুলোতে অন্য কাউকে রোজা রাখার অবকাশ দেয়া হয়নি। (বুখারি, হাদিস: ১,৯৯৮)

শাইখ উসাইমিন (রহ.) বলেন, কারও যদি দুই মাসের লাগাতার রোজা রাখা ফরজ হয়ে থাকে সে ব্যক্তিও ঈদের দিন এবং ঈদের পর আরও তিনদিন রোজা রাখবে না। এ দিনগুলোর পর পুনরায় লাগাতার রোজা থাকা শুরু করবে। (ফাতাওয়া রমাদান, ৭২৭)


কার জন্য ব্যতিক্রম

যে হাজি কোরবানির পশু সংগ্রহ করতে পারেন নি তার জন্যে এ-সময়ে রোজা রাখা বৈধ। আয়েশা (রা.) ও ইবনে ওমর (রা.) উভয়ে বলেন, যে ব্যক্তি হজে গিয়ে কুরবানির পশু সংগ্রহ করতে পারেনি সে ব্যক্তি ছাড়া তাশরিকের দিনগুলোতে অন্য কাউকে রোজা রাখার অবকাশ দেয়া হয়নি। (বুখারি, হাদিস: ১,৯৯৮)

শাইখ উসাইমিন (রহ.) বলেন, কারও যদি দুই মাসের লাগাতার রোজা রাখা ফরজ হয়ে থাকে সে ব্যক্তিও ঈদের দিন এবং ঈদের পর আরও তিনদিন রোজা রাখবে না। এ দিনগুলোর পর পুনরায় লাগাতার রোজা থাকা শুরু করবে। (ফাতাওয়া রমাদান, ৭২৭)


আপনার মতামত লিখুন

logo
Top