সম্ভব হলে পুরো রাত জেগে ইবাদত করা। তবে শবেবরাতের ফজিলত অর্জনের জন্য পুরো রাত জাগা জরুরি নয়। রাতের শুরুর অংশ ইবাদত করে ঘুমিয়ে গেলেও সে সওয়াব অর্জন করতে পারবে। আর কেউ যদি রাত জাগতে চায়, তাহলে শেষ অংশে জেগে ইবাদত করা উত্তম। পবিত্র কোরআন দ্বারা জানা যায়, শেষ রাতে জাগ্রত থাকা উত্তম। কেননা, এ সময় ঘুম ভেঙে উঠতে কষ্ট হয় বেশি। কোরআনে ইরশাদ হচ্ছে, ‘নিশ্চয় ইবাতদের জন্য রাতে ওঠা প্রবৃত্তি দলনে সহায়ক।’ (সুরা মুজ্জাম্মিল: ৬)
এই আয়াতে ‘রাতে ওঠা’ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, রাতে নিদ্রার পর গাত্রোত্থান করা। এর ব্যাখ্যায় তাফসিরে জালালাইনে এসেছে—‘ঘুমের পর জাগ্রত হওয়া। যেহেতু রাতে ঘুমানোর পর জাগ্রত হওয়া কঠিন ও কষ্টসাধ্য, তাই শেষ রাতে জাগা উত্তম হবে। উল্লেখ্য, অনেককে দেখা যায় শবেবরাতে অনেক রাত পর্যন্ত জেগে ইবাদত করতে গিয়ে ফজরের নামাজ জামাতে আদায় করতে পারে না কিংবা নামাজই কাজা করে ফেলেন। তাদের জন্য উচিত হবে রাতের শুরুর অংশে কিছু সময় ইবাদত করে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়া; ফজরের নামাজ যেন অবশ্যই যথাসময়ে জামাতের সঙ্গে আদায় করতে পারে।
গ্রন্থনা: মুফতি মুহিউদ্দিন কাসেমী
সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ