logo
logo

সালামে বেশি নেকি

Blog single photo

মহানবী (সা.)-এর কাছে সালামের গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। তিনি বলেছেন, ‘সেই ব্যক্তি মহান আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয় যে প্রথমে সালাম করে।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৫১৯৭; সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ২৬৮৯) সালাম দেওয়া শুধু একটি অভিবাদন নয়, এটি মুসলিমদের মধ্যে শান্তি, ভ্রাতৃত্ব ও ভালোবাসা দৃঢ় করার একটি মাধ্যম।

মহান আল্লাহ বলেন, ‘যখন তোমাদের সালাম দেওয়া হবে, তখন তার চেয়ে উত্তম সালাম দাও বা অন্তত তাই ফিরিয়ে দাও। নিশ্চয় মহান আল্লাহ সবকিছুর হিসাব রাখেন।’ (সুরা নিসা, আয়াত: ৮৬)

হজরত ইমরান ইবনে হুসাইন (রা.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি মহানবী (সা.)-কে ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলে সালাম দিলে তিনি জবাব দিলেন এবং বললেন, ‘তার জন্য ১০টি নেকি।’ আরেকজন ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ’ বলে সালাম দিলে তিনি জবাব দিয়ে বললেন, ‘তার জন্য ২০টি নেকি।’ তৃতীয় ব্যক্তি ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ’ বলে সালাম দিলে তিনি জবাব দিয়ে বললেন, ‘তার জন্য ৩০টি নেকি।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৫১৯৫; সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ২৬৮৯)

কাকে সালাম দেব

পরিচিত-অপরিচিত সব মুসলিমকে সালাম দেওয়া একজন মুসলিমের ওপর আরেকজনের হক। এ হকের দাবিদার সবার আগে আমাদের পরিবারের সদস্যরা—মা–বাবা, ভাই-বোন, স্বামী-স্ত্রী বা সন্তান। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, ঘরের মানুষকে সালাম দেওয়া তো দূর, বাইরের মানুষকেও সৌজন্যমূলকভাবে সালাম দেওয়া হয় না। আগে মুরুব্বি বা বয়স্কদের দেখলে সালাম দেওয়া হতো, কিন্তু বর্তমানে এ অভ্যাস যেন প্রায় বিলুপ্ত।

মহানবী (সা.) ছোট-বড় সবাইকে সালাম দিতেন। একবার তিনি কিছু বালকের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তাদের সালাম দিয়েছিলেন। (সহিহ বুখারি, হাদিসতোমরা যখন কোনো ঘরে প্রবেশ করবে, তখন নিজেদের ওপর সালাম দেবে, মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে বরকতপূর্ণ ও পবিত্র অভিবাদনস্

সুরা আন-নুর, আয়াত: ৬১

এ ছাড়া আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা.) বলেন, ‘এক ব্যক্তি মহানবী (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করলেন, “ইসলামের সর্বোত্তম কাজ কী?” তিনি বললেন, ‘ক্ষুধার্তকে অন্নদান করা ও পরিচিত-অপরিচিত নির্বিশেষে সকলকে সালাম দেওয়া।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১২; সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৩৯)



আপনার মতামত লিখুন

logo
Top