হজরত আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, আমি ওই ব্যক্তির জন্য জান্নাতের কিনারায় একটি ঘরের দায়িত্ব গ্রহণ করছি যে হকের ওপর থেকেও ঝগড়া ছেড়ে দেয়। আর ওই ব্যক্তির জন্য জান্নাতের মধ্যখানে একটি ঘরের দায়িত্ব গ্রহণ করছি, যে ঠাট্টার ছলেও মিথ্যা বলে না। আর ওই ব্যক্তির জন্য জান্নাতের সর্বোচ্চ স্তরে একটি ঘরের দায়িত্ব গ্রহণ করছি, যে নিজের চরিত্রকে উত্তম বানিয়ে নেয়। (আবু দাউদ: ৪৮০০)
শিক্ষা
১. রাসুল যেসব গুণের জন্য এত বড় পুরস্কার ঘোষণা করেছেন সেসব অবশ্যই অত্যন্ত মর্যাদার বিষয়। জান্নাত প্রাপ্তির আশায় হলেও এসব গুণে অভ্যস্ত হওয়া।
২. ঝগড়ায় বা তর্কে লিপ্ত হলে নিশ্চিত বিজয় জেনেও যে ব্যক্তি অন্যকে ছাড় দেয় তার জন্য রাসুল জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন।
৩. কৌতুক ও হাসির ছলে অনেক সময় অজান্তে মিথ্যা বের হয়ে যায়। যে ব্যক্তি এমন সময় সংযম রক্ষা করতে পারবে তার জন্য নবীজি জান্নাতের মধ্যম স্তরে ঘরের সুসংবাদ দিয়েছেন।
৪. সুন্দর চরিত্রের মর্যাদা সবচেয়ে বেশি। যে ব্যক্তি তার চরিত্র সুন্দর করতে পারবে তার জন্য জান্নাতের সর্বোচ্চ স্তরে ঘরের সুসংবাদ দিয়েছেন নবীজি (সা.)।
ফজিলত
প্রথম তাকবিরে নামাজের সওয়াব: নামাজ পড়ার সময় যে তাকবির (আল্লাহু আকবার) বলে নামাজ শুরু করা হয়, সেই তাকবিরকে ‘তাকবিরে উলা’ বা প্রথম তাকবির বলে। জামাতে নামাজের সময় ইমামের প্রথম তাকবিরের সঙ্গে মুক্তাদিও যদি তাকবির বলে নামাজ শুরু করতে পারেন, তাহলে তার জন্য বিশেষ সওয়াবের কথা রয়েছে হাদিসে। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি চল্লিশ দিন জামাতে নামাজ আদায় করবে এবং সে প্রথম তাকবিরও ধরবে তার জন্য দুটি মুক্তির পরওয়ানা লিখে দেওয়া হবে। ১. জাহান্নাম থেকে মুক্তি; ২. নেফাক (মুনাফেকি) থেকে মুক্তি।’ (তিরমিজি: ১/৩৩; আত-তারগিব ওয়াত তারহিব: ১/২৬৩)। এ হাদিস থেকে বোঝা যায়, ইমামের প্রথম তাকবির বলার সঙ্গে সঙ্গে তাকবির বলে নামাজ শুরু করলে তাকবিরে উলা পাবে। সুতরাং ইমামের তাকবিরে তাহরিমার সঙ্গে সঙ্গেই নামাজে শরিক হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। তবে সুরা ফাতেহা শেষ হওয়ার আগে জামাতে শরিক হতে পারলেও কোনো কোনো ফকিহ তাকবিরে উলার সওয়াব হাসিল হয়ে যাবে বলে উল্লেখ করেছেন। (ফাতাওয়া শামি: ১/৫২৬; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া: ২/৫৪; আলমুহিতুল বুরহানি: ২/১০৭)
সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ